বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুটি কমিটি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

- Advertisement -

এই দুটি কমিটি গঠন করে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালকে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছেন।

জাতীয় কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ আহমুদ হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, লেখক, শিল্পী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন।

- Advertisement -islamibank

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে জাতীয় কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

বাস্তবায়ন কমিটিতেও বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তা, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রয়েছেন।

বাস্তবায়ন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

দুটি কমিটিকেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক সহায়তা দেবে।

জাতীয় কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, আগামী বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি অনুমোদন করবে এই কমিটি।

এছাড়া জাতীয় কমিটি প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেবে বাস্তবায়ন কমিটিকে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক কাজসহ বাস্তবায়ন কমিটির কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, সমন্বয় সাধন, পরিবীক্ষণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনা করবে।

অপরদিকে বাস্তবায়ন কমিটি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত সার্বিক পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও বাজেট প্রণয়ন এবং জাতীয় কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবে। জরুরি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা জাতীয় কমিটির সভাপতির সরাসরি অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরবর্তীতে জাতীয় কমিটির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবে।

বাস্তবায়ন কমিটি প্রয়োজনে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন ও সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কাজে কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

জয়নিউজ/অভিজিত/জুলফিকার
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM