জমে উঠছে সাগরিকা গরুর বাজার

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরের সাগরিকা গরুর বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে কোরবানির পশু। তবে নগরে গরু রাখা-পরিচর্যা অনেক ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হওয়ায়, সাধারণত ঈদের দুই-তিনদিন আগে বেচাবিক্রি বাড়ে। আর দেশি গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে।

- Advertisement -

সাগরিকা বাজার কমিটির কো-চেয়ারম্যান হাজী আবদুল সত্তার জয়নিউজকে বলেন, সাগরিকা গরুর বাজার চট্টগ্রামের নাম করা একটি বাজার। তবে বাজার এখনও পুরোপুরি সরগরম নয়। উত্তরবঙ্গ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর, নঁওগা থেকে গরু আসছে। আশা করছি, এবার দেশি গরু দিয়ে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারবো। ক্রেতাদের মাঝে দেশি গরুর চাহিদা রয়েছে।

- Advertisement -google news follower

তিনি আরো বলেন, দেশি গরুর পাশাপাশি মায়ানমারের গরু রয়েছে। ভারত থেকেও গরু আসবে। ভারতের গরুর দাম কম হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এখনও বিক্রি পুরাপুরি জমে ওঠেনি। শহর এলাকায় গরু রাখার জায়গা না থাকায় সাধারণত কোরবানির ঈদের দুই বা তিনদিন আগে ক্রেতারা গরু কেনেন।

গরুর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে মহিষও । ৬৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত মহিষের দাম হাঁকা হচ্ছে।

- Advertisement -islamibank

মহিষ বিক্রেতা মুহাম্মদ আইয়ুব জয়নিউজকে বলেন, মহিষের মোটামুটি চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। আশা করছি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মহিষ ভালো বিক্রি হবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরুর দাম হাঁকা হয়েছে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা। বাজারের বেশির ভাগ বড় গরু কুষ্টিয়া থেকে আনা।

জমে উঠছে সাগরিকা গরুর বাজার

 

কুষ্টিয়ার গরু বিক্রেতা আবুল হোসেন সওদাগর জয়নিউজকে বলেন, দশ বছর ধরে এখানে গরু বিক্রি করছি। অন্যান্য বাজারের তুলনায় এখানে বাজারদর ভালো। যদি ভারত থেকে গরু না আসে, তাহলে ভালো দাম পাবো।
বাজারজুড়ে শুধু গরু নয়, রয়েছে গরুর খাবার খড়ের স্তূপও। কোরবানির ঈদকে ঘিরে শুরু হয় এই ব্যবসা। শহরে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ সময় জমে ওঠে এই মৌসুমি ব্যবসা।

খড় বিক্রেতা মোহাম্মদ ওমর বলেন, প্রতি আঁটি খড় একশ’ টাকা করে বিক্রি করি। বেচা-কেনা তেমন খারাপ না। প্রতিদিন এক ট্রাকের মতন খড় বিক্রি হচ্ছে। সামনে বিক্রি আরো বাড়বে।

কোরবান আসলে দেখা যায় রঙ বেরঙের মালা । গরু কেনার পর গরুর পরিচর্যার পাশাপাশি এর সাজসজ্জার কথাও মাথায় রাখেন ক্রেতারা। তাই রঙ-বেরঙের মালা গরুর গলায় পরিয়ে আনন্দ পান তারা। আর এ সময় রঙ- বেরঙের মালার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। লাভে মালা বিক্রি করেন এই মৌসুমি মালা বিক্রেতারা।

মালা বিক্রেতা মো. শহীদুল আলম জয়নিউজকে বলেন, মালা আকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি করি। বাজারে যারা গরু কিনতে আসেন তারা মালা নিয়ে যান। অনেকে এটাকে ‘গরুর অলংকার’ বলে থাকেন। এই মৌসুমে মালা বিক্রি করে ভালো লাভ হয়।

জয়নিউজ/আরসি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM