বিশেষ নজরদারিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসন। এই আসনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস।

- Advertisement -

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। নির্বাচনি সহিংসতায় রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হতে পারে এমন শঙ্কায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

- Advertisement -google news follower

এই আসনে মাঠে রয়েছে ৩ প্লাটুন নৌবাহিনী, ৫ প্লাটুন বিজিবি, ১৬৫ জন পুলিশ, র‌্যাবের ৩টি টিম এবং কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনের দিন মাঠে থাকবেন ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া থাকবে ৬টি ইউনিয়নে ৬টি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ টিম রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে বলে জানিয়েছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত রোহিঙ্গারা যাতে কোনো অজুহাতে ক্যাম্পের বাইরে যেতে বা অবস্থান করতে না পারে, সে বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে যাতে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি সরঞ্জাম কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছেছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে বজায় থাকে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ কেন্দ্রে নজরদারি বেশি বলে তিনি জানান।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, রোহিঙ্গারা যেন টাকার বিনিময়ে নির্বাচনে কারুর পক্ষাবলম্বন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নির্বাচনের পরিবেশ বানচাল করার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই পুলিশ রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। ক্যাম্প থেকে কোনো রোহিঙ্গাকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা আবুল কাসেম বলেন, গত দুইদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কাউকে বের হতে দিচ্ছে না পুলিশ। প্রতিদিন মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের জানানো হচ্ছে, নির্বাচনের সময় যাতে কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের না হয়।

র‌্যাব-৭ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে র‌্যাবের তিনটি দল মাঠে রয়েছে। কোনোভাবেই নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।

এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৬ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৫ জন। এ আসনে ১০০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে উখিয়ায় ৫টি ইউনিয়নে ৪৫টি এবং টেকনাফে একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে ৫৫টি কেন্দ্র রয়েছে।

জয়নিউজ/শামীম সরওয়ার/আরসি
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM