নীতির প্রশ্নে মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন আপোষহীন: মেয়র

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে কখনও আপোষ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

- Advertisement -

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় মেয়র একথা বলেন। নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ স্মরণসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

- Advertisement -google news follower

সিটি মেয়র বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী আদর্শবান রাজনীতিক। মহিউদ্দিন ভাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ছিল। আমি তার রাজনৈতিক কর্মী। তার সঙ্গে থেকে আমি অনেককিছু শিখেছি। কীভাবে মানুষকে সহযোগী করতে হয়, মানুষের জন্য কাজ করতে হয় তা তার কাছ থেকেই ধারণ করেছি। তিনি অন্য দলের প্রথমসারির নেতাদের শ্রদ্ধা করতেন।

তিনি আরো বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনীতি থেকে শিখতে হবে। যারা মহিউদ্দিন ভাইয়ের অন্ধভক্ত তাদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, তাকে বোঝার চেষ্টা করুন, জানার চেষ্টা করুন। মহিউদ্দিন ভাই ৭৫ সালের পর বৃহত্তর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন।

- Advertisement -islamibank

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক নেতা আছেন দলের কোনো কাজে নেই, শুধু পদে আছেন। তারা কোনো সভায় আসেন না। তাদের মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া উচিত।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের লড়াই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। প্রয়োজনে জীবনবাজি রেখে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। কারণ এ সরকারের ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ী করার বিকল্প নেই।

স্মরণসভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের মধ্যে আমার বাবার স্মৃতি লুকিয়ে আছে। তিনি একজন কর্মী হিসেবে শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করেছেন। কখনো ছাত্রলীগ, কখনো শ্রমিক লীগ কখনো আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করেছেন দলের জন্য। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে তিনি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতেন। বাবার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে শেখ হাসিনাকে আমরা চট্টগ্রামের ১৬টি আসনই এ নির্বাচনে উপহার দিতে পারব।

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. আফছারুল আমিন, বোয়ালখালীর সাংসদ মইন উদ্দীন খান বাদল, ওয়াশিকা আয়েশা খান এমপি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন সেকান্দর চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, নগর শ্রমিক দলের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহম্মদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।

জয়নিউজ/কাউছার/অভি/জুলফিকার
KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM