পলিথিনজাত দ্রব্যের বিক্রয় ও মজুদ বন্ধ না হলে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট

বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী সামগ্রীর বহুল ব্যবহারের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে মহানগরীর নালা-নর্দমা ও খাল-বিল। এতে করে দূষিত হচ্ছে পানি আর ভেঙ্গে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার পলিথিন ব্যাগ ও পলিইথাইলিনজাত দ্রব্য ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমরা সকলে মিলে দ্রুততম সময়ে পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে চাই।

- Advertisement -

চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

- Advertisement -google news follower

তিনি জানান, দূষণ ও পলিথিনমুক্ত নগরী গড়তে হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব পাটজাত ব্যাগ কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীগণকে অবহিত করা হয়েছে।

এডিএম রাকিব হাসান আরও জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০নং আইন সংশোধিত) এর ৬ক ধারা ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদিও উপর বিধিনিষেধ’-এর নির্দেশনা মোতাবেক কোন প্রকার পলিথিন, শপিং ব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরী সামগ্রী আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন নিষিদ্ধ। উক্ত আইনের বিধান অনুযায়ী মহানগরীর সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতানে পলিথিন বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার না করার জন্য বলা হলো। অন্যথায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০নং আইন সংশোধিত) এর ১৫(১) এর ৪ এর ৬(ক) ধারা মোতাবেক পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের অপরাধে ০২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ০২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড এবং বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহণ বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ফলে অনধিক ০১ (এক) বৎসরের কারাদন্ড বা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

- Advertisement -islamibank

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM