চট্টগ্রামে চলছে না গ্যাসনির্ভর গণপরিবহন,ভোগান্তিতে যাত্রীরা

0

চট্টগ্রাম নগরে গেল দুদিন ধরে চলছে না গ্যাসনির্ভর কোন গণপরিবহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। আজ সোমবার (১৫ মে) সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এচিত্র দেখা যায়।

দেখা যায় নগরের বিভিন্ন মোড়ে গণপরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে। কয়েকটি গ্যাস চালিত গনপরিবহন চললেও তাতে দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

অনেকে আবার গনপরিবহনে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে ও বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যাচ্ছেন। এসময় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও করেন।

নগরের জামালখান এলাকার বাসিন্দা হাসান আবরার জানান, ৪৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোনো গাড়ি মিলছে না। আমি যে রুটে চলাচল করি সে রুটে গণপরিবহন বলতে গ্যাসনির্ভর যানবাহন চলে।

কিন্তু এখন গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় যেতে হচ্ছে। এতে একদিকে সময় লাগছে এবং অন্যদিকে গাড়ি ভাড়া বেশি লাগছে।

মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা রবিন গুহ বলেন, রাস্তায় গাড়ি সংকট। গাড়ি সংকটের কারনে ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুরো চট্টগ্রামে এ অবস্থা হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, গ্যাস সংকটে বাসায় খাবার নেই। বাড়তি টাকা দিয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। রাস্তায় নামলে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার (১৩ মে) রাত থেকে নগরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পাম্পগুলোতে গ্যাস না পাওয়ায় সড়কে গ্যাসনির্ভর যানবাহন কমে যায়।

যানবাহন সংকটের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, শনিবার রাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হবার পর থেকে গ্যাসের সংকট শুরু হয়।

এর কারণে ৭০ শতাংশ সিএনজি অটোরিকশা, ৪০ শতাংশ হিউম্যান হলার ও প্রায় ১৫ শতাংশ বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এলপিজি বোতলজাত এবং অন্যান্য জ্বালানি দিয়ে চলা বিভিন্ন হাল্কা যানবাহন ও রিকশা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া নিচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এ সংকট কমবে।

জেএন/হিমেল/পিআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM