হাওরের পানি দূষণ করলে ৫ বছরের জেল

হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষায় এবার এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করছে সরকার। ইতোমধ্যে ‘হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন’ শীর্ষক খসড়াও তৈরি করা হয়েছে। এসব জলাধারের পানি দূষণ করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধানের প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়। অপরাধীর সহায়তাকারীও পাবেন একই শাস্তি।

- Advertisement -

জানা গেছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য হাওর ও জলাভূমিসহ সব প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

- Advertisement -google news follower

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৬৮৩/২০১৪-তে দেওয়া আদেশে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন দ্রুত প্রণয়নের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী এ আইনের খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর। খসড়াটি তারা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

খসড়ার বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত চেয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এজন্য ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি মতামত এসেছে। যা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। সবশেষে এটি মন্ত্রিসভায় উঠবে।

- Advertisement -islamibank

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা, আইসিটি) গাজী মিজানুর রহমান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে কমিটি করা হয়েছিল। এরপর সবার সমন্বয়ে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়াটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে পরবর্তী যা যা প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করবে।

তিনি বলেন, মূলত হাইকোর্টে একটি মামলার রায়ের আলোকে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল আইন করার জন্য। সে আলোকে মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়েছিল। এরপর খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে হাওরাঞ্চল যেভাবে আছে সেটাকে রক্ষা করতে হবে, সুরক্ষিত করতে হবে। হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেই আলোকেই আইনটি হচ্ছে’— বলেন গাজী মিজানুর রহমান।

‘বিশ্ব জলাভূমি দিবসের স্লোগান হচ্ছে, যেসব জলাভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। এছাড়া বর্তমানে যেগুলো আছে সেগুলো বজায় রাখতেই হবে। সে আলোকে আইনের খসড়ায় আমরা সব বিষয় নিয়ে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি গেজেটের মাধ্যমে। আইন না থাকায় অনেক বিষয়ে সমাধানে আসা যাচ্ছিল না। বর্তমানে মৎস্য সম্পদ থেকে শুরু করে কৃষি সম্পদসহ অনেক কিছু মিলিয়ে হাওরাঞ্চল বিশাল সম্ভাবনাময়। কিন্তু আইন না থাকায় কিছু কাজ জোরালোভাবে করা যাচ্ছিল না। আইনটি পাস হলে হাওরাঞ্চল আরও সুরক্ষিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মেহরুবা ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর খসড়াটি তৈরি করেছে। খসড়ার বিষয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের মতামত চেয়েছিলাম। এজন্য ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা সময় দিয়েছিলাম। কিছু মতামত এসেছে। আমরা সেগুলো কম্পাইল করছি।’

যেসব মতামত এসেছে সেগুলো নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে এসব মতামত নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে— যোগ করেন তিনি।

কী আছে আইনের খসড়ায়

হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা বলতে বুঝাবে- (ক) হাওর ও জলাভূমির জরিপ, তালিকা প্রস্তুত, সীমানা চিহ্নিতকরণ ও জলাভূমি এলাকার মানচিত্র প্রস্তুত। (খ) হাওর ও জলাভূমি এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল, জলজ বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশ, প্রতিবেশ রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম বা স্থায়ী অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা; সংরক্ষিত জলাভূমি এলাকা ঘোষণা এবং হাওর ও জলাভূমি সংস্কার, খনন, পুনঃখনন ও পুনরুদ্ধার।

(গ) হাওর ও জলাভূমির পানির অন্তঃপ্রবাহ বা আন্তঃপ্রবাহ বা বহিঃপ্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য খনন বা পুনঃখনন। (ঘ) পানির স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত রাখা এবং হাওর ও জলাভূমির টেকসই ব্যবহার।

(ঙ) হাওর ও জলাভূমির উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র উন্নত করার জন্য হাওর ও জলাভূমির যে কোন ধরনের পরিবর্তন। (চ) হাওর ও জলাভূমির উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ পরিবেশ, প্রতিবেশ রক্ষা করে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন।

হাওর ও জলাভূমি সুরক্ষা বলতে নিম্নবর্ণিত কাজ থেকে বিরত থাকা বুঝাবে-

(ক) হাওর ও জলাভূমি থেকে এমনভাবে পানি প্রত্যাহার যার ফলে হাওর ও জলাভূমি শুকিয়ে যায় বা হাওর ও জলাভূমি এলাকার পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র বা জলজ প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (খ) পানিধারক স্তরের নিরাপদ সীমা ব্যাহত হয় এমনভাবে পানি উত্তোলন/আহরণ।

(গ) পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কাজ। (ঘ) হাওর ও জলাভূমির যে কোনো ধরনের পরিবর্তন যার ফলে হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(ঙ) হাওর ও জলাভূমিতে এমন কোন অবকাঠামো নির্মাণ যা পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং যার ফলে হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (চ) হাওর ও জলাভূমিতে এমন কোনো দ্রব্য, পয়ঃ বা গৃহস্থালি বর্জ্য নিক্ষেপ বা মিশ্রণ বা নিঃসরণ যার ফলে পানি দূষিত হয় বা হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(ছ) শিল্প কারখানার অপরিশোধিত তরল বা কঠিন বর্জ্য হাওর ও জলাভূমিতে নিক্ষেপ বা মিশ্রণ বা নিঃসরণ যার ফলে পানি দূষিত হয় বা হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (জ) অভয়াশ্রম হিসাবে ঘোষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকায় পানি বা শব্দ দূষণ সৃষ্টিকারী যান্ত্রিক জলযান চালানো।

(ঝ) অনুমোদিত বালুমহাল বা পাথরমহাল ব্যতীত হাওর ও জলাভূমি থেকে বালু বা পাথর উত্তোলন। (ঞ) হাওর ও জলাভূমির অবৈধ দখল, ভরাট বা অননুমোদিত খনন।

(ট) হাওর ও জলাভূমি থেকে অবৈধভাবে সম্পদ আহরণ। (ঠ) হাওর ও জলাভূমির অননুমোদিত পরিবর্তন বা রূপান্তর এবং (ড) প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ঘোষিত এমন কোন জলমহাল ইজারা প্রদান।

অপরাধ, দণ্ড ও বিচার

দেশে ‘হাওর ও জলাভূমি কোর্ট’ নামে এক বা একাধিক কোর্ট থাকবে বলে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে খসড়ায় আরও বলা হয়, প্রতিটি ‘হাওর ও জলাভূমি কোর্ট’ একজন বিচারকের সভাপতিত্বে গঠিত হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত প্রসিকিউটর এ কোর্টকে সহায়তা করবেন। এ কোর্ট তার এখতিয়ারাধীন হাওর ও জলাভূমি সংক্রান্ত অপরাধ আমলে নেবেন। এ কোর্ট প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারবে।

খসড়ায় বলা হয়, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা থাকুক না কেন, মোবাইল কোর্ট আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে, এ আইনের তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করতে পারবে।

অপরাধ বিচারের আমলযোগ্যতা

খসড়ায় বলা হয়, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্ন যা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধগুলো হাওর ও জলাভূমি কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হবে। এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধগুলো আমলযোগ্য ও অজামিনযোগ্য হবে। এ আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতেও করা যাবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়োগ

এ আইনে বর্ণিত যে কোনো অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে।

অপরাধের বর্ণনা ও শাস্তি

• হাওর ও জলাভূমি থেকে এমনভাবে পানি প্রত্যাহার যার ফলে জলাভূমি শুকিয়ে যায় বা জলাভূমি এলাকার প্রতিবেশ বা জলজ প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়— এমন অপরাধে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• পানিধারক স্তরের নিরাপদ সীমা ব্যাহত হয় এমনভাবে পানি উত্তোলন/আহরণ করলে অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন কাজ। এ অপরাধে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমির যে কোনো ধরনের পরিবর্তন যার ফলে হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়— এক্ষেত্রে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমিতে এমন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ যা পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এবং যার ফলে জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়— এ অপরাধে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমিতে এমন কোনো দ্রব্য, পয়ঃ বা গৃহস্থালি বর্জ্য নিক্ষেপ বা মিশ্রণ বা নিঃসরণ যার ফলে পানি দূষিত হয় বা হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেক্ষেত্রে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• শিল্প কারখানার অপরিশোধিত তরল বা কঠিন বর্জ্য হাওর ও জলাভূমিতে নিক্ষেপ বা মিশ্রণ বা নিঃসরণ যার ফলে পানি দূষিত হয় বা হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল এবং জলজ বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়— এ অপরাধে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকায় পানি বা শব্দ দূষণ সৃষ্টিকারী যান্ত্রিক জলযান চালানো— এক্ষেত্রে অনধিক এক বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• অনুমোদিত বালুমহাল বা পাথরমহাল ব্যতীত হাওর ও জলাভূমি থেকে বালু বা পাথর উত্তোলন করলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমির অবৈধ দখল, ভরাট বা অননুমোদিত খনন করলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমি থেকে অবৈধভাবে সম্পদ আহরণের অপরাধে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• হাওর ও জলাভূমির অননুমোদিত পরিবর্তন বা রূপান্তর করলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

• কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজ করা বা না করার ফলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাওর ও জলাভূমির পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি সাধন হলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

শাস্তি পাবেন অপরাধের সহায়তাকারীও

অপরাধের সহায়তাকারী একই শাস্তি পাবেন বলে খসড়ায় বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ আইনে বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনা প্রদান বা প্রলুব্ধ করলে সহায়তাকারী বা প্ররোচনা প্রদানকারী বা প্রলুব্ধকারী অপরাধ সংঘটনকারীর ন্যায় একই অপরাধে অপরাধী বলে গণ্য হবেন এবং উক্ত অপরাধীর ন্যায় একইভাবে শাস্তিযোগ্য হবেন।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM