শিপ হ্যান্ডলিংয়ে নতুন অপারেটর নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে পণ্য স্থানান্তর (শিপ হ্যান্ডলিং) কাজের জন্য নতুন অপারেটর নিয়োগে (লাইসেন্স প্রদান) বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

- Advertisement -

তাছাড়া নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ।

- Advertisement -google news follower

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিচারপতি মোহাম্মদ খসরুজ্জামান ও শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবীর আব্বাস চৌধুরী হাইকোর্টের নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এসটি এন্টারপ্রাইজ লি. নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক কামালের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বেঞ্চটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদায়ী চেয়ারম্যান ছাড়াও সচিব ও পরিচালক-পরিবহনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।

- Advertisement -islamibank

এই ৩জনের সমন্বয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়। যারা ২০২১, ২২ ও ২৩ সালে জমা হওয়া দেড়শ’র বেশি আবেদন যাচাই-বাছাই করেন।

রিট আবেদনে অভিযোগ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং মহেশখালীর মাতারবাড়িতে দরপত্র আহ্বান ছাড়াই নতুন অপারেটরদের লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বন্দরের ২টি প্রবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরদের সংগঠনের পরিচালক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিধি অনুযায়ী, নতুন অপারেটর নিয়োগ দিতে হলে টেন্ডার আহ্বান করতে হবে। তবে বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, দরপত্র আহ্বান করতে হয় তালিকাভুক্তির সময়। লাইসেন্স দেয়ার সময় নয়।

ব্যবসায়ী নেতা মাহফুজুল হক শাহের মতে, নতুন অপারেটর নিয়োগের প্রয়োজন থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া যায়। তাতে বিতর্ক থাকবে না।

তথ্য বলছে, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটরের জন্য ১শ ৬৩টি আবেদন জমা পড়ে। সবার আবেদন সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠানো হয়। সেখানে ২২-২৩ জনের নামে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করে বর্তমানের একটি শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর প্রতিষ্ঠান।

তবে সরকারপক্ষের আবেদনে তা খারিজ হয়ে যায়। পরে আবারো রিট হলে বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নির্দেশ ও ৬ মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দেন আদালত।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বাতিল করে বার্থ অপারেটর পদ্ধতি চালু করে যৌথবাহিনী। সে নিয়মে বন্দর জেটিতে এখন ১২ আর বহির্নোঙরে দায়িত্ব পালন করছে ৩২ অপারেটর।

সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া, বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে আগত দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্টের (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার) প্রবিধানমালা ও এসংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেট অনুসরণ না করে দরপত্র ছাড়া নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ অবস্থায় এসটি এন্টারপ্রাইজ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন (নম্বর-৫০৭১ অব ২০২৩) দাখিল করলে বিচারক শুনানি শেষে গতকাল রুলনিশি জারি করেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM