সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গৃহীত

জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আনীত প্রস্তাব (সাধারণ) সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। খবর: বাসস।

- Advertisement -

কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা গত ৭ এপ্রিল প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

- Advertisement -google news follower

প্রস্তাব উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে সংসদের অভিমত এই যে, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাঙ্খার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করাবো, গড়ে তুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়’।

সোমবার জাতীয় সংসদের বিশেষ ও ২২তম অধিবেশনের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী আনীত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

- Advertisement -islamibank

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে, উন্নয়ন টেকসই হয়। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে দেশের সকল দল-মতের ঐকমত্য প্রয়োজন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর নাম, শেখ মুজিবুর রহমান’ এটি একটি কঠিন সত্য, যে সত্য বার বার অন্ধকারকে ভেদ করে বাঙালির হৃদয়ে সূর্যালোক পৌঁছে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উন্নয়নে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করায় সংসদের অভ্যুদয় এবং জাতির অস্তিত্ব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

দেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে উপনেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে কৃষি ও কৃষকের সাফল্য আজ দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। যার কারণে হেনরী কিসিঞ্জাররা বাংলাদেশকে আর ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলতে পারে না।

বিএনপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে উপনেতা বলেন, রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু বিএনপি সাধারণত অনৈতিক পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে মিথ্যাচার করছে। এ সময় তিনি ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, এই সংসদে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশসহ অনেক কালো আইন পাস হয়েছে। সংসদে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, সন্ত্রাসী, কালোবাজারিদের সদস্য করে আনা হয়েছে। সংসদের বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস করা পাশাপাশি সংসদের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বিঘ্নিত করা হয়েছে। সংসদকে অকার্যকর করার সকল প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে কার্যকর করতে সংসদীয় কমিটিগুলোকে সক্রিয় করেছেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করাসহ সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রকে পুনপ্রতিষ্ঠা করেছেন।

অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা দেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM