তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে ইসলামী দলগুলো আমাদের সঙ্গে ছিল তাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। এতে করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করার পথ আরও সুগম হবে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যজোট আয়োজিত ‘মাহে রমজানের শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর মতো নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতির প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অন্য বেশ কিছু দল ইভিএমের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন সব আসনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি অনেকটা বিরোধী দলের দাবি মেনে নেওয়ার মতোই।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনো বাধা দেখতে পাই না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। তাই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চায়। নির্বাচন কমিশন যেহেতু তাদের দাবি অনুযায়ী ব্যালটে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আশা করি তারা ভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নেবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, রমজান, ঈদ ও পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় যখন অন্য দেশে পণ্যমূল্য কমে তখন আমাদের দেশের অনেক ব্যবসায়ী আগ্রাসী রূপ ধারণ করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থা মোকাবিলায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সক্রিয় হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে সরকার রমজানে স্বল্প মূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব শায়খুল হাদীস মনিরুজামান রাব্বানী। এতে ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উপদেষ্টা আল্লামা রুহুল আমিন খান উজানভি, চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সাইফী, ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের সভাপতি এড. নুরুল ইসলাম খান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সাংগঠনিক সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর