বিশ্ব কিডনি দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘সবার জন্য সুস্থ কিডনি’। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কিডনি দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

- Advertisement -

বাংলাদেশে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিডনির রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ নীরবঘাতক কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথানাশক ও এন্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল এবং স্থুলতার কারণে কিডনি রোগের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

- Advertisement -google news follower

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।’ এই প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য, অপ্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের সাধারণ জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, জনগণকে কিডনির রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবা দিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন দেশে কিডনি রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসার প্রসারে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

- Advertisement -islamibank

রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষে রেনাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- ইনশাআল্লাহ।’

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের প্রতিপাদ্য সুস্থ কিডনি সবার জন্য প্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এই নীতি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসা সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছেন। জনসচেতনতা বাড়াতে পারলে ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সনাক্ত করতে পারলে অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য। আমাদের সরকারের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে। আমরা প্রতিটি বিভাগে এবং জেলা পর্যায়ে কিডনি রোগীদের জন্য হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং তার বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সরকার স্বল্পমূল্যে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM