চট্টগ্রাম-৮ আসন: আ.লীগে অর্ধডজন প্রার্থী

কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ৮ আসন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পর সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল উপ নির্বাচন।

- Advertisement -

এ নির্বাচনে সাংসদ হন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দীন আহমদ। তিনি গত ৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে মারা যান। ফলে নিয়ম অনুযায়ী শূন্য আসনে আবারও উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

- Advertisement -google news follower

বোয়ালখালী উপজেলার সন্তান এ দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গন। মোছলেম উদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদটিও শূন্য।

এই শোকের মধ্যেও বাজতে শুরু করেছে নির্বাচনী ডামাডোল। আওয়ামী লীগের প্রায় অর্ধডজন নেতা এমপি হতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

- Advertisement -islamibank

তবে এ শূন্য আসনের উপ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের দুই নেতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের নাম আলোচনা হচ্ছে তৃণমূলে।

এছাড়া এ আসনের দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, ব্যবসায়ী এস এম আবু তৈয়ব এবং সদ্য প্রয়াত সাংসদ মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপির স্ত্রী শিরিন আহমদ।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ওই আসনে বিগত কয়েক দশক ধরে নির্বাচিত হচ্ছেন বোয়ালখালীর বাসিন্দা রাজনীতিবিদরা। তবে এবার আলোচনায় থাকা দুই আওয়ামী লীগ নেতাই নগরীর বাসিন্দা।

তাদের মধ্যে আবদুচ ছালাম নগরীর মোহরা এলাকায় থাকেন, যা চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের অধীন। আর আ জ ম নাছির থাকেন নগরীর আন্দরকিল্লা এলাকায়।

সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন অনেকে চাইতে পারেন। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। এ আসনে ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালে আমি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলাম, শুরুতে পেয়েওছিলাম। পরে নেত্রীর নির্দেশে আমি সরে আসি। তারপর নেত্রী আমাকে সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন।’

নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ছয় দফায় টানা ১০ বছর তিনি সেই পদে ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদেও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ছালাম।

২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়ে চট্টগ্রামের মেয়র পদে বসেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। নানা কারণে দ্বিতীয়বার দলের মনোনয়ন পাননি তিনি। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

আ জ ম নাছির বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী যদি আমাকে নির্দেশ দেন নির্বাচন করতে, অবশ্যই করব। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। দল যখন যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে আমি তা পালন করে চলেছি।’

এ আসনে টানা তিনবারের এমপি জাসদের নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান। বাদল জোট শরিক আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতী পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হন নৌকার প্রার্থী মোছলেম।

জেএন/পূজন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM