ডিসির সহযোগিতায় অসহায় গীতার মুখে স্বস্তির হাসি

0

একটি গণমাধ্যমের সংবাদের শিরোনাম ছিল “ঘরে খাবার নেই, ট্রাক থেকে চাল কুঁড়িয়ে নিলেন বৃদ্ধা”। সংবাদের সূত্রধরে সেই পারাস্ত, পযুর্দস্ত বৃদ্ধা গীতা বিশ্বাসকে খুঁজে বের করলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। শুনলেন তাঁর অভাব অনটনের গল্প। বাড়িয়ে দিলেন সহযোগিতার হাত।

নিঃসন্তান গীতা বিশ্বাসের বয়স বাহান্নের কাছাকাছি। স্বামী উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন। বাড়ি মীরসরাই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচারে ঠিকতে না পেরে বাড়ি ছেড়েছেন ১০ বছর আগে।

এখন চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদের চৌমুহনী এলাকার মিয়া বাড়ির নীচতলার একটি ঘরে তাঁদের ঠাঁই। একবেলা খেয়ে দু’বেলা না খেয়ে দিন কাটে এ দম্পতির।ডিসি,অসহায়,গীতা, স্বস্তি, হাসি

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, “ঘরে খাবার নেই, ট্রাক থেকে চাল কুড়িয়ে নিলেন বৃদ্ধা” শিরোনামে পত্রিকার খবর পড়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের নির্দেশ দেন গীতা বিশ্বাসকে খুঁজে বের করার। পরে তাঁর বাসায় আজ সোমবার হাজির হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।

তিনি বলেন, মীরসরাইয়ের ইউএনওকে এই ভদ্র মহিলার বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখার জন্য ডিসি স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বা ওএমএস এর কার্ড করে দেয়া যায় কিনা সেটি ইউএনও স্যার দেখবেন। এরকম অসহায় ও গরীব মানুষের পাশে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম সবসময় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

গীতা বিশ্বাস জয় নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ কেজি চাল, ১০ কেজি ডাল, ১০ লিটার তেল, ৪ কেজি আলু, ২ কেজি লবন, ২ কেজি চিনি, সাবান, শ্যাম্পুসহ প্রায় ২ মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং ৫ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়।

তিনি বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আমাদের বেহাত হওয়া মীরসরাইয়ের জায়গা জমির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশস্ত করেছেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে গীতা বিশ্বাসকে ১৫ দিন পরপর চাল ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তাঁর বাসায় পৌঁছে দেব।

প্রত্যেক বিত্তশালীকে অসহায়দের সহায় হওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।

জেএন/এফও/পিআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM