এমন একটি দ্রষ্টব্য (যাকে দেখানো যায়) প্রাণি যাকে নাটকে ঘুষখোর দেখায়, সিনেমায় অপরাধীদের দোসর দেখায়। এমন একটি কিংকর্তব্যবিমূঢ় প্রাণি যাকে কেউ পক্ষ বানায়, আর কেউ লক্ষ্য বানায়। আর বেলা শেষে সবাই সেই পুলিশের কাছেই ধর্ণা দেয় একটু নিরাপত্তার আশায়।
পুলিশই আপনার সেই বন্ধু। এই বন্ধুটির সাথে সবসময় আপনারা এসবই করেন। এসবই বলেন। শেষে সেই পুলিশ বন্ধুর কছেই ছুটে আসেন। কিন্তু কখনো দেখেছেন বা শুনেছেন পুলিশকে বলতে ‘গতকাল আমাদের ইট মারছিলা তোমার মামলা নিবো না।’ ‘আজকে চ্যাটের বাল বলছ তোমার জিডি নেব না ‘।কখনোই বলেনি। কখনো বলবেও না। পুলিশ আছে বলেই আপনারা আছেন। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে বলেই আপনারা গাড়ির ভেতর বসে থাকতে পারেন।পুলিশ জেগে আছে বলেই আপনারা শান্তিতে ঘুমাতে পারেন।
মনে রাখবেন, পুলিশের ভূমিকা ক্রিকেটের আম্পায়ার কিংবা ফুটবলের রেফারির মতো। নিয়মনীতির মধ্যে থেকে খেলা পরিচালনা যেমন আম্পায়ার এবং রেফারির দায়িত্ব। পুলিশের দায়িত্বও দেশের বিদ্যমান আইনের আওতায় নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এটিই পুলিশ সবসময় করে থাকে। এটা করতে গিয়েই আজ এর, কাল ওর, পরশু সবার শত্রু হয়ে যায় পুলিশ। তবুও দিনশেষে সেইসব ‘শত্রু’দের জান ও মালের নিরাপত্তা দিতেই দিনরাত ছুটোছুটি করে এইসব চ্যাটের বাল। কারণ, এরা পুলিশ।