দুবাই থেকে পাওয়ার ব্যাংকে লুকিয়ে স্বর্ণ এনে শাহজালালে ধরা

0

দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করেন জুয়েল (৩০) নামে এক যাত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এসব স্বর্ণ নিয়ে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান।

স্বর্ণগুলো নিরাপদে পার করে দেওয়ার জন্য ফ্লাইটটি বিমানবন্দরে অবতরণের আগে থেকে জুয়েল ফোনে যোগাযোগ করেন স্বর্ণ পাচারে তার সহযোগী হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের (৩৭) সাথে। বিমান থেকে নেমেই দেখা হয় দুজনের।

এসময় ৪ নাম্বার এরাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে এসে যাত্রী জুয়েল তার হেফাজতে ২টি স্বর্ণবার এবং ৯৯ গ্রাম গহনা রেখে একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো ৪ পিস স্বর্ণবার তুলে দেন হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের কাছে।

তবে তাদের অভিনব কৌশলে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা রুখে দেয় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। সন্ধ্যা ৭টার সময় বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার পর এপিবিএনের গোয়েন্দা দল তাদের দুজনকে আটক করে।

এসময় যাত্রী জুয়েলের আনা আমজাদের হেফাজতে থাকা সেই কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংকের ভিতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০টি স্বর্ণবার খুঁজে পায় এপিবিএন। এছাড়াও তার প্যান্টের পকেট থেকে তল্লাশি করে আরও ৪টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়।

অপরদিকে যাত্রী জুয়েলকে তল্লাশি করলে তার কাছেও ২টি স্বর্ণবার এবং ৯৯ গ্রাম গয়না পাওয়া যায়। দুজনের কাছ থেকে মোট ১৬টি স্বর্ণবার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণের গহনাসহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

যাত্রী জুয়েল এবং হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে একজন বাংলাদেশি প্রবাসীর কাছ থেকে জুয়েল এই স্বর্ণ সংগ্রহ করেন। ঢাকা পর্যন্ত এসব স্বর্ণ পৌঁছে দিতে পারলে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার কথা তার।

সেই লক্ষ্যেই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং এই স্বর্ণ চোরাচালান করার পরিকল্পনা করেন। আজাদের বাড়ি গাজীপুরের পুবাইল উপজেলায় এবং জুয়েলের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে সোনা চোরাচালান করেছে।

এক সপ্তাহ আগের একটি চালান চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু গোপন সোর্সের খবরে এবারের চালানে আমজাদ এবং জুয়েল এপিবিএনের অভিযানে ধরা পড়ে। অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

জেএন/পিআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM