দেড়মাসে ঠান্ডাজনিত রোগে ৭৬ মৃত্যু

নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীত নেমেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অসুখসহ বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। বেশি অসুস্থ হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। শিশু হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে।

- Advertisement -

চলতি শীত মৌসুমে সারাদেশে ঠান্ডাজনিত অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনস (এআরআই) এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। বিভাগটিতে ৫২ জন মারা গেছেন।

- Advertisement -google news follower

১৪ নভেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এক বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৪ নভেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ৪৯ হাজার ৫৬ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩ জন মারা গেছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৬৫ জন। মারা গেছেন তিনজন।

- Advertisement -islamibank

বিভাগভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী চট্টগ্রামে। এ বিভাগে ১৪ নভেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৮ হাজার রোগী এ রোগে ভুগছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে (মহানগর ব্যতীত) ১১ হাজার ৩৬২ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।

ময়মনসিংহে তিন হাজার ৫৮২ জন, রাজশাহীতে এক হাজার ৮৩৬ জন, রংপুরে এক হাজার ৪৭২ জন, খুলনায় ছয় হাজার ৬১৭ জন, বরিশালে তিন হাজার ৩২১ জন ও সিলেট বিভাগে দুই হাজার ৮৬৬ জন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে মারা যাওয়া ৭৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। এ বিভাগে মারা গেছেন ৪৯ জন। এছাড়া ময়মনসিংহে ২০ জন, খুলনায় দুজন ও বরিশালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি বিভাগগুলোতে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ দুই লাখ ২৮ হাজার ৫২১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ১৪ নভেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি সময়ের মধ্যে কেউ মারা যাননি। তবে চট্টগ্রাম বিভাগে এসময়ে ডায়রিয়ায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বিভাগটিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৮৬ জন।

এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ হাজার ৬৯৪ জন, রাজশাহীতে ১৩ হাজার ১১৫ জন, রংপুরে আট হাজার ৪০৫ জন, খুলনায় ১৬ হাজার ৬০৫ জন, বরিশালে ১০ হাজার ৩৭৬ জন ও সিলেট বিভাগে ছয় হাজার ৯৬৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীরা দেরিতে হাসপাতালে যাওয়ায় রোগের তীব্রতা বাড়ছে এবং এতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। দ্রুত চিকিৎসা নিলে এবং সচেতন থাকলে এসব রোগে আক্রান্ত কম হবে। মৃত্যুও কমে আসবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া নিয়ে সাড়ে তিনশো রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তার মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই শিশু রোগী। তাদের বেশিরভাগের বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM