বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজিত করলাম মেট্রোরেল : প্রধানমন্ত্রী

0

মেট্রোরেলকে বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে ‘অহংকারের পালক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার রাজধানীর উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের ‘সি’ ব্লকের মাঠে মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং অগ্রযাত্রায় আরেকটি পালক আজ বাংলাদেশ তথা ঢাকা এমআরটি সিক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত রয়েছেন, পাশাপাশি সারা বাংলাদেশ এবং প্রবাস থেকে যারা অবলোকন করছেন, আমি সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। আজকে আমরা আরেকটি নতুন অহংকারের পালক বাংলাদেশের জনগণের মাথার মুকুটে সংযোজিত করলাম। এটা হচ্ছে এমআরটি লাইন সিক্স।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উত্তরা থেকে এই মেট্রোরেল কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত সংযোজিত হবে। এর প্রথম ফেজ আমরা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেছি। মোট ২১ পয়েন্ট ২৬ কিলোমিটার অংশের বাকি অংশও আমরা খুব শিগগির সমাপ্ত হলে আমরা উদ্বোধন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেলের উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অন্তত চারটি মাইলফলক বাংলাদেশের জনগণকে স্পর্শ করল। এক. নিজেই একটি মাইলফলক, দুই. প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল, তিন. মেট্রোরেল দূরনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে এবং রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটি পরিচালিত করা হবে, চার. বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেনের যুগে পদার্পণ করল। এই মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।’

দেশবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে অনেক টাকা খরচ করে এই মেট্রোরেল করা হয়েছে। এটাকে সংরক্ষণ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সব কিছু যারা ব্যবহার করবেন তাদের দায়িত্ব। এখানে অনেক আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে, কাজেই সেসব জিনিস যেন কোনো মতে নষ্ট না হয়। সকলে যত্নবান হবেন, খেয়াল রাখবেন কেউ যাতে আমাদের এই স্টেশনগুলোতে আবর্জনা-ময়লা ফেলতে না পারে।

যে কোনো একটা কাজ করতে গেলে অবশ্যই সাহসের প্রয়োজন হয়। সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে প্রতিটি কাজের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদের আশু করণীয় কী, পাশাপাশি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করে যাচ্ছি। যে কারণে মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বলেন শেখ হাসিনা।

জেএন/এমআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM