নাসিরাবাদে ২ প্রতিষ্ঠানকে ১৯ লাখ টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ

অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ করায় চট্টগ্রামের দুই প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়েছে।

- Advertisement -

আজ সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) হিল্লোল বিশ্বাস শুনানি শেষে এ ক্ষতিপূরণ আরোপ করেন।

- Advertisement -google news follower

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক হাছান আহম্মদ ও পরিদর্শক মো. শাওন শওকত গত ২১ নভেম্বর নগরের নাসিরাবাদ বি ব্লক এ বিসিক শিল্প এলাকার “মক্কা ওয়াশিং ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাঃ) লিমিটেড” নামক প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

কারখানাটিতে ডায়িং, ওয়াশিং ও প্রিন্টিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিদর্শনকালে কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম চালু অবস্থায় ইটিপি বন্ধ পাওয়া যায়। কারখানাসৃষ্ট অপরিশোধিত তরল বর্জ্য কোনরূপ পরিশোধন ব্যতিরেকে বাইপাস ড্রেনের মাধ্যমে নির্গমন করা হচ্ছিল।

- Advertisement -islamibank

পরে বাইপাস ড্রেন হতে তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরীক্ষা করা হয়।

নমুনা বিশ্লেষণী ফলাফলে ডিও, সিওডি, টিডিএস, বিওডি প্যারামিটারগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য মানমাত্রার বাইরে পাওয়া যায়।

এ ছাড়া গত ১১ ডিসেম্বর পরিবেশের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন ও পরিদর্শক মো. মনির হোসেন পরিদর্শনকালে কারখানাটির ইটিপি বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান।

এ প্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শুনানীর নোটিশ প্রদান করা হয়। আজ সোমবার শুনানী অন্তে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬ শত টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ করে অধিদপ্তর।

এদিকে নাসিরাবাদের একই এলাকার “জেফার্স ওয়াশিং” নামক ওয়াশিং নামক অপর একটি কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শণ করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক ও সহকারী পরিচালক হাছান আহম্মদ।

কারখানাটিতে বজ্র ওয়াশিং এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাছাড়া পরিদর্শনকালে কারখানাটির ইটিপি বন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। কারখানাসৃষ্ট তরল বর্জ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিশোধন না করে পরিবেশে নির্গমনের আলামত পাওয়া যায়।

সৃষ্ট তরল বর্জ্যের নমুনা সংগ্রহের পর অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের কার্যালয়ে পরীক্ষা করা হয়। নমুনা বিশ্লেষনী ফলাফলে ডিও, সিওডি, টিডিএস, বিওডি প্যারামিটারগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য মানমাত্রার বাইরে পাওয়া যায়।

এর প্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শুনানীর নোটিশ প্রদান করা হয়। আজ শুনানী অন্তে কারখানা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে কারখানাটি পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়নবিহীন পরিচালনা ও তরল বর্জ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিশোধন না করে পরিবেশে নির্গমন করায় ২ লাখ ৫ হাজার ৫শ টাকা পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়।

জেএন/এফও/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM