টাইব্রেকারে ডাচদের বিদায় করে সেমিতে আর্জেন্টিনা

টাইব্রেকে প্রথম দুটি শট ঠেকান এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। প্রথম তিন শটে গোল করেন মেসিরা। এরপর মিস। তারপর আবার গোল। ১২০ মিনিটের লড়াই শেষে সেমিফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা। এক অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পর লড়াই। রাতটাই ছিল লড়াইয়ের।

- Advertisement -

ফুটবলে বৈভব মানেই ব্রাজিল। তাই হলুদ মানে প্রাচুর্য। তবে কমলা ট্র্যাজেডির রং। কাতার বিশ্বকাপের মরূদ্যান থেকে দুটিই মুছে গেছে। কিন্তু ক্যানভাস শূন্য হয়ে যায়নি। লিওনেল মেসি আছেন যে! তাই গাঢ় হয়ে ফুটে উঠেছে আকাশি-নীল। ফুটবল রূপকথার পথে…জীবনের পথে ধীর পায়ে এগিয়ে গেছে আর্জেন্টিনা। ২-২ গোলে ড্র থাকা ১২০ মিনিটের ম্যাচ টাইব্রেকে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যারাডোনার দেশ।

- Advertisement -google news follower

জানা ছিলই—লাতিন ফুটবল মানেই ছন্দ, ড্রিবল আর পাসের ঝরনা ধারা। বিপরীতে ইউরোপিয়ান ফুটবল গতি আর স্ট্যামিনার প্রদর্শনী। মরুর বুকে গত রাতে সবই দেখা গেছে। পদ্যময় ফুটবল খেলেও হেরেছে ব্রাজিল; জিতেছে আর্জেন্টিনা। আর গদ্যময় ফুটবল খেলে ক্রোয়েশিয়া ট্রাইব্রেকে জিতলেও হেরেছে নেদারল্যান্ডস।

এক ফুটবল জাদুকরের পায়ের কাছে আর গোল কিপারের হাতের কাছে কমলা বিপ্লব থেমে গেছে। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে মেসির প্রথম ঝলক দেখা গিয়েছিল। প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। চার ডাচ ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন। যেন এক ঘূর্ণাবর্ত। আচমকা কোনাকুনি বল বাড়ালেন বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। গোলরক্ষকের ডান দিক দিয়ে বল জালে পাঠালেন তিনি। প্রথম গোলের আগ পর্যন্ত দুই দলই খেলা তৈরি করেছিল নিজেদের রক্ষণে। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছিল। আক্রমণে উঠছিল। কিন্তু জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না। তাই খেলার গতিও কমে যায়। নেদারল্যান্ডস দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠছিল। প্রথম ২০ মিনিটে দুবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকতে পেরেছেন মেম্ফিস ডিপে, কডি গাকপোরা। তাতে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি মার্টিনেজকে। থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ডাচ পেনাল্টি বক্সে ঢুকছিল আর্জেন্টিনাও।

- Advertisement -islamibank

দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু মেসিদের বক্সে তেমন বিপদ তৈরি হয়নি। তবে মাঝেমধ্যে প্রতি আক্রমণে নেদারল্যান্ডসের বক্সে ঢুকছিলেন মেসিরা। ৬৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। ৭১ মিনিটে বক্সের মধ্যে আকুনাকে ফাউল করেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। এবার গোল করতে ভুল করেননি মেসি। গোলরক্ষকের বাঁ দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে ৮৩ মিনিটে এক গোল শোধ করে ম্যাচে প্রাণ ফেরান ডাচরা। হেডে দুরন্ত গোল করেন উইঘর্স্টের। ৯৯ মিনিটে আবার গোল। সংযুক্তি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। বার্গুইসের ছোট ফ্রি-কিক ধরে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন উইঘর্স্টে। তার জোড়া গোলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর ভাগ্য, নাটকীয়তা এবং সংশয় মুছে সেমিতে ওঠে আর্জেন্টিনা।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM