নৌ-শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

নৌ-পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ খাতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, মালিক- শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বৈঠকের পর এ তথ্য জানানো হয়।

- Advertisement -

শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শ্রম ভবনে আয়োজিত বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের উপস্থিতিতে নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এ ঘোষণা দেন।

- Advertisement -google news follower

এদিকে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেতন চলতি মাস থেকে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণার আশ্বাসে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। বিকেল থেকেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা।

মালবাহী ও যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে দেশব্যাপী দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও (২৮ নভেম্বর) ভোর থেকে দেশের সবকটি নৌবন্দরে বন্ধ ছিল পণ্য খালাস ও ওঠা-নামা। নৌযান শ্রমিকদের আরও ১২টি সংগঠন তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ কর্মবিরতিতে অংশ নেয়।

- Advertisement -islamibank

এর আগে রোববার (২৭ নভেম্বর) ভোর থেকে দেশের সবকটি নৌবন্দরে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

সাধারণ শ্রমিক ও নেতাদের অভিযোগ, শ্রমিকদের বর্তমান সর্বনিম্ন মজুরি ৭ হাজার ৭০০ টাকা ও মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ দুই লাখ টাকা নির্ধারণ রয়েছে। তবে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ বিভিন্ন সময়ে মজুরি ও মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি করবে বলে বারবার আশ্বাস দিয়েও তা মেনে নিচ্ছেন না। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করা হলেও শ্রমিকদের ভারতের ল্যান্ডিং পাসও প্রদান করা হচ্ছে না।

এ ছাড়া নৌপথে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি বন্ধ, চট্টগ্রামের চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, সারা দেশে সব নদীবন্দরের আশপাশে জাহাজ নোঙর করার নির্দিষ্ট স্থান পোতাশ্রয় নির্মাণ ও বালুবাহী নৌযান ইজারাদারদের হয়রানি বন্ধসহ সাত দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান শ্রমিকরা। অন্যথায় কর্মবিরতিসহ অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নৌযান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো: নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দান, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণ, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেয়াসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটার জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদফতরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM