চট্টগ্রামে এক সংখ্যালঘুকে চিতাই নিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকির অভিযোগ

২৬ লাখ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রাট বায়নানামা করার ৭ বছর পরও জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে তা আত্মসাৎ করতে উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে প্রবাসী মৃদুল শীলকে। তাঁর অভিযোগ, পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোঃ ওবায়দুর রহমানের ওয়ারিশরা তাকে দেশ ছাড়তে হুমকি দিচ্ছেন। জমি দাবি করলে চিতাই নিয়ে পুড়িয়ে মারা হবে।

- Advertisement -

আজ মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

- Advertisement -google news follower

লিখিত বক্তব্যে মৃদুল শীল বলেন, প্রবাসে সঞ্চয়ের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার বাসা নং- ১৩/এ, রোড নং-০২, এর বাসিন্দা মোঃ ওবায়দুর রহমানের কাছ থেকে ২৫/১০/২০১৫ ইং তারিখে দলিল নাম্বার- ১৫১২১ ও ২২/১১/২০১৫ ইং তারিখে দলিল নাম্বার- ১৬৬৩৫ দুইটি রেজিস্ট্রাট বায়নানামা সম্পাদন করি। ২৬ লাখ টাকা জমির মূল্য হিসেবে তাকে পরিশোধ করি। এরপর আমি আমার কর্মস্থল সৌদি আরবে চলে যাই। এরমধ্যে আমি মোঃ ওবায়দুর রহমানের সাথে ফোনে জমি রেজিস্ট্রি করার বিষয়ে প্রায় সময় যোগাযোগ করি। আমি দেশে ফিরলে তিনি বয়নানামা করা জায়গা দুটি রেজিস্ট্রি দিবেন বলে ফোনে ওয়াদা করেন। কিন্তু দু:খের বিষয় ২০১৭ সালে ওবায়দুর রহমান মারা যান। এরপর আমি বিদেশ থেকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মরহুম ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী লায়লা রহমান, তাঁর ৩ সন্তান মোহাম্মদ বিপ্লব পারভেজ, মোহাম্মদ ওম্মান পারভেজ ও মোঃ আহমাদুর রহমান শাওন আমাকে নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।

জীবনের নিরাপত্তার বিষয় উল্লেখ করে মৃদুল শীল বলেন, ওবায়দুর রহমানের সন্তান শাওন আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, তুই ডাণ্ডির (হিন্দুর) বাচ্চা দেশে কিভাবে থাকিস দেখব। বেশি বাড়াবাড়ি করলে চিতাই নিয়ে পুড়িয়ে তুকে ও তুর পরিবারকে মারব। সে বলেন, নিজের ভালো চাইলে দেশত্যাগ কর।

- Advertisement -islamibank

তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল মোস্তফা টিনুর কাছে প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন করি। ৫ নভেম্বর বিকালে ওবায়দুর রহমানের ছেলে মোঃ আহমাদুর রহমান শাওনের অনুরোধে কাউন্সিলরের প্রতিনিধি কায়সার হামিদসহ বেশ কয়েকজন নিয়ে আমরা তাঁর কাতালগঞ্জের অফিসে গিয়ে সমাধানের জন্য বৈঠকে বসি। সেখানে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার সাথে বায়নানামা করা জায়গাটি ওবায়দুর রহমানের পরিবারকে ফেরত দেওয়ার শর্তে আমার অনুকূলে তার ছেলে আহমাদুর রহমান শাওনের স্বাক্ষর করা আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১৩ লক্ষ টাকা করে মোট ২৬ লক্ষ টাকার দুটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু ওইদিন রাতে বৈঠক শেষে শাওন নতুন নাটক সাজান। তিনি বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় আমিসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা করেন।

৭ নভেম্বর ওই মিথ্যা মামলায় আমাকে ও কাউন্সিলরের প্রতিনিধি কায়সার হামিদকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পরের দিন আমরা জামিনে মুক্তি পাই।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছন মৃদুল শীলের পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৃদুল শীলের স্ত্রী মনি শীল, ছেলে রাহুল শীল, জিতু শীল।

জেএন/এফও/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM