বাজার দরে ক্রেতার নাভিশ্বাস!

সরবরাহে সংকট না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বেড়েছে মোটা চালের দাম। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, মসুর ডালসহ অধিকাংশ নিত্যপণ্য।

- Advertisement -

খুচরা বাজারে থেকে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে চিনি নেই বললেই চলে। তবে দু-এক দোকানে পাওয়া গেলেও দাম আকাশছোঁয়া। সবজি কিনতে গিয়েও শুধুমাত্র কয়েক কেজি আলু নিয়ে বাড়ি ফিরছে ক্রেতা। সবমিলিয়ে এ সপ্তাহের বাজার দরে নাভিশ্বাস সাধারণ জনগণের।

- Advertisement -google news follower

সাত দিনের ব্যবধানে আরেক দফা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা। আজ শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত তিনদিনে মিল পযার্য়ে মোটা চাল প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। যার কারণে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

- Advertisement -islamibank

প্রতি কেজি আটা ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ভালো মানের ময়দার দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে। ডালের দাম গত কয়েকদিনের মধ্যে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কেজিতে ৪০ টাকা বেশি। তবে অধিকাংশ দোকানেই মেলেনি চিনি।

বক্সিরহাট বাজারের মুদি দোকানি রহমত মিয়া বলেন, কোম্পানি থেকে চিনির সরবরাহ নেই। পরিবেষক পর্যায়েও চিনি নেই। যে কারণে পাইকারি বিক্রেতারা চিনি পাচ্ছে না।

ফলে আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতারা চিনি না পেয়ে বিক্রি বন্ধ রেখেছি। তবে কিছু দোকানে কয়েক প্যাকেট চিনি থাকায় তারা সেই চিনি খোলা ভাবে বিক্রি করতে পারছে।

এদিকে বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরেও দেখা গেছে ব্যাগ হাতে নিয়ে এ দোকান থেকে অন্য দোকান ঘুরছে ক্রেতারা। দাম শুনে সটকে পড়ছেন। বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে কাকরোল, কচুর লতি, উস্তা, করলা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, পটল, চিচিঙ্গা, মুলা ও একপিস ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকার মধ্যে। শিম ১২০ টাকা এবং গাজরের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেশি। অনেক ক্রেতা দাম শুনে পণ্য না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বেচাকেনাও কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে আমাদেরও স্বস্তি নেই।

ক্রেতারা জানান, সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। মধ্যবিত্তরা ও নিম্নবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ। সংসারের খরচ কমাতে কমাতে আর পারছি না। পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে হবে তাই শুধুমাত্র আলু নিয়েই ঘরে ফিরতে হচ্ছে অনেককেই। বাজারের যে অবস্থা এখন হয়তো একবেলা না খেয়ে থাকবে হবে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM