আশা জাগিয়েও ৫ রানের পরিজয়

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত পরাজয় বরণ করতে হয়েছে টাইগারদের।

- Advertisement -

অ্যাডিলেডে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ভারত। বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম ওভারে ১ ও পাওয়ারপ্লেতে ৩৭ রান জড়ো করে রোহিত শর্মার দল। হাসান মাহমুদ রোহিতের ক্যাচ হাতছাড়া করলেও পরের ওভারে নিজেই সাজঘরে ফেরান। ফর্ম হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লোকেশ রাহুল অবশ্য ফর্মে ফেরার জন্য বাংলাদেশকেই বেছে নেন। ক্রিজে থিতু হওয়ার পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন। অন্যপ্রান্তে অন্যান্য দিনের মতোই সাবলীল ছিলেন বিরাট কোহলি।

- Advertisement -google news follower

সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে রাহুল থামার আগে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। ৩২ বলে ৫০ রান করার পথে হাঁকান তিনটি চার ও চারটি ছক্কা। এরপর ক্রিজে নেমে চড়াও হন সূর্যকুমার। তার একটি ক্যাচ ফসকে যায় মুস্তাফিজের হাত থেকে। তবে ১৬ বলে ৩০ রান করে সাকিবের শিকার হয়েই থামেন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার।খানিক পর হাসান হার্দিককে ফেরালেও বাঁধা হয়ে দাঁড়ান কোহলি। দীনেশ কার্তিক এদিনও সুবিধা করতে পারেননি। শেষদিকে অশ্বিনের ৬ বলে ১৩ রানের ক্যামিও আর কোহলির ৪৪ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত দুই ইনিংসে ১৮৪ রানের বড় পুঁজি জড়ো করে ভারত।

বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ শিকার করেন তিনটি উইকেট, যদিও খরচ করেছেন ৪৭ রান। সবচেয়ে খরুচে ছিলেন ৫৭ রান বিলি করে শরিফুল। সাকিব ৩৩ রানের খরচায় শিকার করেন জোড়া উইকেট। শুরুতে ভারতকে চাপে ফেলা তাসকিন ৪ ওভারে বিলি করেন ১৫ রান।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় ওপেনিং জুটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে এদিন ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন লিটন দাস। শান্ত বরাবরের মতো এদিনও সাবধানী শুরু করেন। তবে তার ব্যাটিং দলকে চাপে ফেলেনি লিটনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণে। মাত্র ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকানো লিটন গড়েন চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। দলীয় রান ৬৬ হয় ৭ ওভারে, তখনই নামে বৃষ্টি। ২৬ বলে ৫৯ করা লিটনের ব্যাট থেকে ততক্ষণে এসেছে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। যদিও অপর প্রান্তে ভীষণ বেমানান ফিগার শান্তর- ১৬ বলে মাত্র ৭!

- Advertisement -islamibank

বৃষ্টি থামলে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫১ রান। অর্থাৎ, আরও ৯ ওভারে করতে হতো আরও ৮৫ রান। ক্রিজে নেমেই লিটনকে অবশ্য বিদায় নিতে হয়। রানআউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৬০ রান করেন ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায়। এরপর শান্ত যা করেছেন, তা মেনে নেওয়া যে কারও জন্য কষ্টকর। একটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ২১ রান করে যখন সাজঘরে ফিরছেন, তখন বল খেলে ফেলেছেন ২৫টি! এমন একটি ম্যাচে ৮৪ স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিং, তাও শুরুর দিকে ধীরে খেলে যে ক্ষত সৃষ্টি করে গিয়েছিলেন, তা সারাতেও পারেননি।

এমনকি বাকি ব্যাটাররাও কেউ আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। দুই ওপেনার ছাড়া দুই অঙ্কের রানের দেখা পেয়েছেন কেবল সাকিব, তাও ১২ বলে ১৩ রান। একপর্যায়ে ধ্বস নামে ব্যাটিং অর্ডারে। ৬ নম্বরে নামা নুরুল হাসান সোহান শেষদিকে চেষ্টা চালালেও সফল হননি। ১৪ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ভারতের পক্ষে আরশদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM