রাঙ্গামাটি-বান্দরবানে গ্রেফতার ৭ জঙ্গি কারাগারে

পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

- Advertisement -

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।

- Advertisement -google news follower

এসময় তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব ৭ ও ১৫ এর সদস্যরা রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির দুর্গম সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭ জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সৈয়দ মারুফ ওরফে মানিক, ইমরান হোসাইন ওরফে সাওন, কাউসার ওরফে শিশির, জাহাঙ্গীর আহমেদ ওরফে জনু, মো. ইব্রাহীম ওরফে আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাপ্পী, রুফু মিয়া, জৌথান স্যাং বম, স্টিফেন বম ও মাল সম বম।

- Advertisement -islamibank

এসময় তাদের কাছ থেকে এসবিবিএল বন্দুক ৯টি, এসবিবিএল বন্দুকের গুলি ৫০ রাউন্ড, কার্তুজ কেইস (এসবিবিএল বন্দুক) ৬২টি, হাত বোমা ৬টি, কার্তুজ কেইস ১টি, কার্তুজ বেল্ট ২টি, দেশী পিস্তল ১টি, বিভিন্ন দেশী অস্ত্র, ওয়াকিটকি ১টি, ওয়াকিটকি চার্জার ৩টি, প্রস্তাবিত কুকি চিন রাজ্য লিখা ১০টি মানচিত্রসহ নানা ব্যবহার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরো জানায়, ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িত হয়ে তারা দেড় মাস হতে দু’বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল।

তারা বিভিন্ন এলাকায় শারীরিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক জ্ঞান গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জ্যেষ্ঠ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেইফ হাউজে থাকতো। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ তরুণদেরকে বান্দরবানের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পরবর্তী ধাপের প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হত।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত।

প্রশিক্ষণে তাদেরকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো, আইইডিসহ বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরি, চোরাগুপ্তা হামলা, প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার বিভিন্ন কৌশলসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞান বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হত।

খন্দকার আল-মইন বলেন, জঙ্গিবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ আছে। বিশ্বের বুকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ রোল মডেল। যারাই জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিবে সন্ত্রাসবাদ প্রশ্রয় দেবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার সাতজনের বিরুদ্ধে বিলাইছড়ি থানার মামলা হয়েছে। তাদেরই শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM