কিলিং মিশনে মামুনের সঙ্গী ছিলেন আরো ৮ জন

0

সোমবার সন্ধ্যায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্মম খুনের শিকার হন মিরসরাই হিঙ্গুলী ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী শহিদুল ইসলাম আকাশ। এ ঘটনার একদিন পরও পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

নিহত আকাশের বাবার দাবি, প্রকাশ্যে এ খুনে এলাকার সন্ত্রাসী ও ভাড়াটে খুনী মামুন সরাসরি জড়িত। এছাড়া কিলিং মিশনে ইকবাল, মোতালেবসহ ৭/৮ জন কিলার তার সাথে ছিল। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ ঘাতকদের ধরতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেন।

হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের মানত মিঝি বাড়ির নুরুল ইসলাম বলেন, ছেলেকে যেভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, জাহিলিয়াত যুগকেও হারমানিয়েছে। অথচ পুলিশ আসামি গ্রেফতার করতে পারছেনা।

তিনি বলেন, মামুন ভাড়াটে খুনী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অল্প টাকার জন্য সে যে কাউকে খুন করতে পারে। আমার কলিজার ধনকেও সে শেষ করে দিল। আমি সরকার প্রধানের কাছে বিচার চাই।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন জানান, হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত একাধিক ব্যাক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি। তবে তাদের গ্রেফতারে চেস্টা চলছে।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলাম আকাশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি হিঙ্গুলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ছিলেন।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, মামুনের নামে বহু মামলা রয়েছে এলাকায় সে চিহ্নীত সন্ত্রাসী। ২০১৮ সালেও আকাশকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল মামুন।

জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নূর হোসেন মামুন বলেন, মামুনের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী-নির্যাতনসহ ১০টি মামলা রয়েছে। ইতি পূর্বে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। ৫দিন আগে সে জামিনে এসেছে। এখন শুনছি সে আকাশকে হত্যা করেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহিদুল ইসলাম আকাশের লাশের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জেএন/এফও/পিআর

আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×