থানায় অভিযোগকারী এক পিতাকে মারধর,এএসআই প্রত্যাহার

0

মানিকগঞ্জে শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিবালয় থানায় বিচার চাইতে গিয়েছিলেন এক পিতা। অভিযোগকারী ওই পিতাকে থানার ভেতর বেধড়ক মারধর করা হয়।

এমন অভিযোগ উঠার পর গতকাল শনিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই থানার এএসআই আরিফ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মারধরের শিকার ওই পিতাকে উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে শিবালয়ের আরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়ার ভাই রজ্জব ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে ধষর্ণের চেষ্টা করেন। সে সময় শিশুটির বাবা ভয়ে থানায় মামলা করতে পারেননি।

সপ্তাহখানেক আগে শিবালয় থানায় মামলা করেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় মামলার খবর নিতে থানায় গেলে ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফ হোসেন তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

এক পর্যায়ে থানার ভেতরে তাকে মারধর করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বিচার প্রার্থী ওই বাবার অভিযোগ, রুমে নেওয়ার পর আরিফ অভিযুক্তের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে ফোনে রেখে তাকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারাসহ লাঠি দিয়ে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন।

এ সময় বাইরে তার মা ও শিশু সন্তান কান্নাকাটি করলেও আরিফের হাত থেকে তাকে রক্ষায় থানার কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে আরিফ তাকে মেঝে থেকে তুলে বলেন, ‘যা চলে যা। দৌড়ে চলে যাবি।’

একজন বিচার প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশ সদস্যের এমন আচরণের বিষয়টি জানাতে রাতেই মা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যান শিশুটির বাবা।

সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যান শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। এ সময় তার মা ও এলাকার একজনের কাঁধে ভর করে শিশুটির বাবাকে অফিসে ঢুকতে দেখা যায়।

শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় এএসআই আরিফ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুটির বাবার করা মামলার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’

জেএন/পিআর

KSRM
আরও পড়ুন
লোড হচ্ছে...
×KSRM