কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে : সেনাবাহিনী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সোইনছড়ি বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ আগুন দীর্ঘ প্রায় ৬৩ ঘন্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার তথ্য দিয়েছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম।

- Advertisement -

আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি এতত্য দেন। কয়েকটি কনটেইনারের ভেতর থেকে এখনো ধোঁয়া দেখা গেলেও এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে তিনি জানান।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, কিছু কন্টেইনারে কাপড়ের পণ্য আছে। ওইগুলো পানি দেয়ার ফলে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এরপরও আর কোন হতাহত যাতে না হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে ধোঁয়া বের হওয়া কনটেইনারের আশেপাশে লোক যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ টিম এখানে এসেছে। এখানে বিপজ্জনক আর কিছু আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা একটা ফাইনাল রিপোর্ট পাবো। সেখানে আমরা দেখবো আর কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না।

- Advertisement -islamibank

বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় যেসব কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল তা শনাক্ত করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরও কোনো কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্যা রয়েছে কিনা তা বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে চেক করা হচ্ছে। প্রথম দিনের পর আর কোনো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি তেমন কোনো বড় সমস্যা আর হবে না’, বলেন তিনি।

আরিফুল ইসলাম বলেন, আসলে এখানে কী পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এখানে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের অনেকেই নিহত এবং আহত হয়েছেন। অনেক নথি পুড়ে গেছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন।

এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করেছেন।

ডিপোতে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে।

সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪১ জন নিহত হন। আজ নতুন করে আরো দুটি মরদেহবাশেষ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ টি।

দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেএন/টিটি

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM