সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৬ জুন) সকালে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে পরিচয় শনাক্ত হয়নি, নিহত এমন ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ১২টি বিশেষ গাড়ির সাহায্যে জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ছিটানোর কাজ চলছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আর আগুন নেভানোর পুরো কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার।
এছাড়া ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ছাড়াও সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাও কাজ করছেন।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়।
রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও। এখন পর্যন্ত নয় জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।
জয়নিউজ/পিডি